তিমিরাভিসার ও রক্তকলস (হার্ডকভার)
তিমিরাভিসার ও রক্তকলস (হার্ডকভার)
৳ ১০০   ৳ ৯০
১০% ছাড়
1 টি Stock এ আছে
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

পঁচিশ বছর ধরে বিচ্ছিন্নভাবে লিখিত কয়েকটি গল্প সাজিয়ে দিলাম বর্তমান গ্রন্থে। 'রাঙা জোছনায় রক্তাক্ত হরিণ আমার প্রথম প্রকাশিত গল্প (মীর মােশাররফ হােসেন হল বার্ষিকী, ১৯৮০)। হল সাহিত্য প্রতিযােগিতায় আমি পুরস্কৃত হই এই গল্পটি লিখে। ১৯৮৩ সালে লিখি কলসের কাহিনী' ও 'রামদা নামে দুটি গল্প। 'রামদা একটি উপন্যাস হতে চেয়েছিল, পরে এটিকে আমি সংযত করে কয়েকটি ছােটগল্পে পুনর্বিন্যাস করি। তার দুটি হলাে : 'বাঘভল্লুক ও রঙের পাশা ও 'জ্যোৎস্নাভিসার ও কলার ভেলা'। এই চারটি গল্প সত্তরের দশকের শেষ এবং আশির দশকের সন্ধিক্ষণের দুটি ঘটনা অবলম্বনে রচিত। সে সময়ের দুঃখ, দারিদ্র্য, অস্থিরতা, হতাশা ও বেকারত্বের করাল চিৎকার গল্পগুলােতে প্রকট হয়ে ধরা পড়েছে হয়তাে। উল্লিখিত চারটি গল্প আমার প্রথম পর্যায়ের গল্পের অন্তর্ভুক্ত। এসময়ের তিনটি গল্পকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে প্রথম আলােতে ছেপে (২০০১-২০০২) সাহিত্য সম্পাদক ব্রাত্য রাইসু আমাকে পাঠকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। বিশ বছর পর এগুলাে প্রথম আলােতে ছাপা হয় সংশােধিত আকারে। প্রথম আলােতে প্রকাশকালে এই গল্পগুলোর আদি ভূমি খুঁজে পাই আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে। প্রথম রচনাকালে গল্পগুলাে ছিল একাকী, রিক্ত কিন্তু সংশােধনকালে এগুলাের সঙ্গে এসে মিশে চিরায়ত সাহিত্যের উত্তরাধিকার। হাজার বছরের পুরনাে চর্যাপদের জীবনচর্যাকে একীভূত ও সম্পর্কিত করার পর দেখা যায়। এগুলাে খুঁজে পেয়েছে প্রকৃত ঠিকানা ও ভিত্তিভূমি। আমাদের বর্তমান জীবন যে হাজার বছরের পুরনাে জীবনের ধারাবাহিকতা- এটি প্রমাণিত হয়েছে আবারাে। সমাজতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক একটি দৃষ্টিভঙ্গি যুক্ত হয়েছে সংশােধনকালে । প্রথম আলােতে তিনটি গল্প ছাপা হওয়ার পর নতুন পর্যায়ে লিখি আরাে পাঁচটি গল্প। তার প্রথমটি 'রক্ত-বিবাহ- নতুন প্রবর্তিত উপজেলা ব্যবস্থার ক্ষমতাদম্ভ, তাপ ও বিপর্যয় ছড়িয়ে আছে গল্পটিতে। ২০০৫ সালে দেশের ওপর দিয়ে রক্তবন্যা বয়ে যাওয়ার পর নভেম্বর-ডিসেম্বরে লিখি তিনটি গল্প। তার মধ্যে 'বর্ষাভিসার ও নৌকাযুদ্ধ" এবং 'তিমিরাভিসার ও রক্তকলস' মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা। বইয়ের নামকরণ করতে গিয়ে দেখ প্রায় সবগুলাে গল্পে ছড়িয়ে রয়েছে রক্তের রঙ। প্রথম পর্যায়ের গল্পগুলােতে আছে প্রেমিকের হৃদয়ের রঙ, পরবর্তী পর্যায়ের গল্পে রক্তের রঙ আরাে জটিল ও ব্যাপক। তাই অগ্রসর চেতনাকে মূল্য দিয়ে গল্পগ্রনস্থের নামকরণ করছি তিমিরাভিসার ও রক্তকলস। আমার প্রথম গল্পেই ছিল রক্তের স্বাক্ষর। চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময় জাতীয় প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করে লিখে পাঠাই পলাশরঙ' (১৯৭৭)। গল্পটি ছিলাে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রক্তের পলাশ নিয়ে লেখা ভালবাসার গল্প গল্পটির ভাগ্যে কী ঘটেছিল আমি আর জানতে পারিনি। তবে এগল্প রচনার প্রায় তিরিশ বছর পর তার চেতনাটা বিশাল হয়ে উঠছে দেখে আশ্চর্য লাগছে। বর্তমান সঙ্কলনে প্রথম গল্পটিকে সঙ্গত কারণে অনুপস্থিত রাখছি। আমার গ্রন্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে (২০০২-২০০৪) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ঐতিহ্য প্রকাশনীর মাে: আরিফুর রহমান নাইম আর দ্বিতীয় পর্যায়ে (২০০৫-) এপিপিএল-এর মিসেস শাহিনা রহমান। সুস্থিরভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন প্রকাশক ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে চিরস্নিগ্ধ ও নির্জন আবহাওয়ায়। নিজের বই নিজের পরিকল্পনা অনুসারে প্রচ্ছদ করার সুযােগও তৈরি হয়েছে এখানে। আমাকে সর্বাত্মক সহযােগিতা দিয়েছেন অসীম কুমার হালদার। আলােকচিত্র ও প্রচ্ছদশিল্প সহযােগিতা নিয়ে আগের গ্রন্থের অসীম কুমার হালদার-অপূর্বেন্দু হালদার জুটি এ গ্রন্থেও বহাল রইল। কম্পােজের কাজ করেছেন আমার প্রিয় ছাত্র শাহ আলম চঞ্চল । সে আমার এত প্রিয় যে আমি একটি গল্পের নায়কের নামকরণ করেছি শাহ আলম। পল্লবী অভিমুখী বড় রাস্তার ওপর আমার প্রিয় এলাকায় একটি নির্জন কক্ষে কম্পােজ দেখাশােনা করে আমি আনন্দ পেয়েছি। গ্রন্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে যারা সহায়তা দিয়েছেন - তাদের সবার নিকট আমি ঋণী। সর্বোপরি সব যাত্রাকে যিনি সুগম করে দিয়েছেন, দাঁড়াচ্ছি তার সামনে মাথা নত করে।

--- মাহমুদ নাসির জাহাঙ্গীরি

Title : তিমিরাভিসার ও রক্তকলস
Author : মাহমুদ নাসির জাহাঙ্গীরি
Publisher : একাডেমিক প্রেস এন্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি
ISBN : 984080203
Edition : 2006
Number of Pages : 64
Country : Bangladesh
Language : Bengali

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সমালোচনা, ছোটগল্প, কবিতা-এই তিনটি শাখায় কাজ করে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন মাহমুদ নাসির জাহাঙ্গীরি। এটি ছিল এমন এক অগ্নিগর্ভ সময়-যখন জাহাঙ্গীরনগর সাহিত্যের তীর্থস্থানে পরিণত হয়। কবি মোহাম্মদ রফিক খোলা কবিতা লিখে দেশের শীর্ষ কবি হয়ে ওঠেন এবং সেলিম আল দীন তৃতীয় ধারার নাটকের সন্ধানে শুরু করেন গ্রাম থিয়েটার আন্দোলন। ১৯৭৯ সাল থেকে ঢাকা থিয়েটার দেশজ নাট্যবিষয় ও জাতীয় আঙ্গিক অন্বেষণের জন্য বেছে নেয় মেলাকে। ১৯৮৪ সালের পর সদ্যপ্রতিষ্ঠিত উপজেলা পর্যায়ের কলেজগুলোতে যোগ দিয়ে এবং ১৯৮৮ সালের পর গ্রামীণ ব্যাংকের তৃণমূল শাখার সহযোগিতা নিয়ে জাহাঙ্গীরি শুরু করেন দেশজ ঐতিহ্য অন্বেষণের কাজ। গজারিয়া কলিমউল্লাহ কলেজে যোগদান করে প্রথম রচনা ও মঞ্চস্থ করেন চর কাসুন্দি এবং আজমিরীগঞ্জ রফিক আহম্মদ কলেজে যোগদান করে জয়কলস নাটক। তারই ধারাবাহিকতায় রচনা করেন আঞ্চলিক উপন্যাস: কাহাত কহর সাল (ঢাকা, ঐতিহ্য, ২০০২) এবং আঞ্চলিক গল্প: তিমিরাভিসার ও রক্তকলস (ঢাকা, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স, ২০০৬)। তাছাড়া প্রকাশিত হয়েছে: গবেষণা: বাংলাদেশের কবিতা উত্তরাধিকার ও স্বরূপ (১৯৫২-১৯৭১), (ঢাকা, ঐতিহ্য, ২০০৪) সমালোচনা: কবি জীবনানন্দ দাশ: আদ্যন্ত সম্প্রসারণশীল চেতনা, (ঢাকা, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স, ২০০৫) কাব্য : নদী মাতা যার (ঢাকা, ঐ, ২০০৭) কাব্য: তুরাগ নদীর কাব্য (ঢাকা, নহলী, ২০০৯) কাব্য: আসমুদ্রহিমাচল (ঢাকা, কবিতাবাংলা, ২০১৪).


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]