মৃত্তিজয়ী (হার্ডকভার)

মৃত্তি অর্থ মাটি আর জয়ী শব্দের অর্থ বিজয়ী । মাটির কাছে এসে মাটির বুকে কাজ করে যে সফলতা অর্জন করে সে-ই মৃত্তিজয়ী। 

সৎ, মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান একটি ছেলে সাজ্জাদ। উচ্চতায় ছয় ফুটের কাছাকাছি, সুঠাম দেহের অধিকারী সাজ্জাদ- বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে পিএইচডি করতে বিদেশ না গিয়ে গ্রামে এসে নিজে প্রােজেক্ট তৈরি করে গবেষণার কাজ শুরু করে। গ্রামে এসে গবেষণা করতে গিয়ে নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। বহুবিধ বাধা বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও এসব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে চলে সে। তার এই দীর্ঘ সংগ্রামে ছায়াসাথী হয়ে থাকে একজন।। সাজ্জাদের সাফল্যের লাল ফিতার ওপাশ থেকে তার দিকে হাত বাড়িয়ে থাকে যে তার নাম জয়া। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, কোমল হৃদয়, অপার্থিব সৌন্দর্যের অধিকারী জয়া একই সাথে কঠিন ও কোমলের মিশ্রণ। জয়ার বাবার ইচ্ছাতেই সাজ্জাদ এক সময় গ্রামে ফিরে আসে, আর বাবার মৃত্যুর পর তারই শেষ নির্দেশ অনুযায়ী জয়াকে চলে আসতে হয় গ্রামে। এক পর্যায়ে সেও সাজ্জাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। দু’জনের সাহসিকতা ও সংগ্রামের ফলে ওরা এক সময় হয়ে উঠে মৃত্তিজয়ী। কিন্তু সাফল্যের পরও গ্রাম্য সামাজিক কুচক্রে মৃত্তিজয়ীর জীবনে ঘটে যায় এক অপূরণীয় ক্ষতি...।