সেরা সন্দেশ ১৩৬৮-১৩৮৭ (হার্ডকভার)
সেরা সন্দেশ ১৩৬৮-১৩৮৭ (হার্ডকভার)
৳ ১০০০   ৳ ৯০০
১০% ছাড়

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

৫০% ছাড়ে অর্ডার করুন 'তথ্য সাময়িকী ৪৬তম বিসিএস বিশেষ সংখ্যা' ও 'বিসিএস প্রিলিমিনারি মডেল টেস্ট'

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

সত্যজিৎ রায় সম্পাদিত
সেরা সন্দেশ
১৩৬৮-১৩৮৭

শুরু হয়েছিল ১৩২০ সালে। আর শেষ ? অমন কথা ভাবাই যায় না। হারিয়ে গিয়েও যে আবার নতুন চেহারায় সামনে এসে দাঁড়ায়, সেই সন্দেশ আজও ছােটদের জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ। নিতান্ত একটি পত্রিকা তাে নয়, আশ্চর্য রকমের সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের দরজা দু-দুবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । প্রথমবার বন্ধ হয়েছিল সুকুমার রায়ের মৃত্যুর পর। আর দ্বিতীয়বার, ১৩৩৮ সালে । কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ওই যে বলেছেন : 'শেষ হয়ে হইল না শেষ', সন্দেশ-এরও সেই একই ব্যাপার। সন্দেশ শেষ হলে তাে ছােটদের আনন্দেরও সমাপ্তি, সন্দেশ তাই শেষ হয়নি। দ্বিতীয়বার বন্ধ হবার তিরিশ বছর বাদে সে আবার নতুন করে দেখা দিল । এবং এতই দীপ্ত সুন্দর কান্তি নিয়ে দেখা দিল যে, বিস্ময়ে আর আনন্দে ছােটদের তাে বটেই, বড়দেরও যেন চোখের পলক আর পড়তে চায় না। দেখে, পড়ে একবাক্যে সবাইকে বলতে হয় যে, হাঁ ছােটদের জন্য এমন ভাল পত্রিকা এ-দেশে আর কখনও বার হয়নি। রবীন্দ্রনাথ যেন অচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত হয়ে আছেন এই পত্রিকার সঙ্গে। যে-বছর তিনি নােবেল পুরস্কার পান, সেই বছরেই উপেন্দ্রকিশােরের হাতে সন্দেশ-এর সূচনা, আর দু-দুবার বন্ধ হয়ে যাবার পরে সত্যজিতের হাতে ১৩৬৮ সালে যখন তৃতীয়বারের জন্য তার সূচনা হল, স্বদেশে-বিদেশে তখন রবীন্দ্রশতবর্ষের উৎসব চলছে। তৃতীয় পর্যায়ের সেই সন্দেশ-এর বয়সও ইতিমধ্যে কুড়ি পেরিয়েছে। বারবার পড়বার মতাে কত-যে লেখা ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকায়, এবং বারবার দেখবার মতাে কত ছবি, তার আর ইয়ত্তা নেই। কুড়ি বছরের সেইসব লেখা আর ছবির থেকেই বেছে নিয়ে, ছেকে নিয়ে বার করা হল এই অসামান্য সংকলন সেরা সন্দেশ । কী আছে সেরা সন্দেশে ? এর উত্তরে বলতে হয়, কী নেই ? রবীন্দ্রনাথের নাটিকা, শরদিন্দুর সদাশিবের কাণ্ডকাহিনী, তারাশঙ্করের গল্প, অজিত দত্তের ছড়া, সুখলতা রাওয়ের কবিতা, ক্ষিতিমােহন সেনের চিঠি, এমনসব দুর্লভ লেখার পাশাপাশি এ-যুগের প্রবীণ আর নবীন প্রায় প্রত্যেকের সৃষ্টি নিয়েই এই দারুণ বৈচিত্র্যময় সংকলন । শুধু গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ-ছড়া-শিকারকাহিনী-গোয়েন্দা উপাখ্যান-রূপকথা-অ্যাডভেনচার-ইতিহাস বা বিজ্ঞানই নয়, ম্যাজিক-ধাঁধা-হেঁয়ালি, ছবি আর শব্দের খেলা, এমনকি কার্টুনও বাদ যায়নি। সেরা সন্দেশ বাছাই করার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনজনেলীলা মজুমদার, নলিনী দাশ ও সত্যজিৎ রায়। মাসিক সন্দেশ সম্পাদনার ভারও এঁরা তিনজনেই বহন করে আসছেন বহুদিন থেকে। রচনা নির্বাচনের পর সেগুলিকে সাজিয়ে দেবার কাজটা করেছেন সত্যজিৎ রায়। অজস্র নতুন ছবি এঁকেছেন তিনি এই সংকলনটির জন্য। সেরা সন্দেশ যেন একটি রেখে দেবার মতাে বই হয়, এই কথাটা মনে রাখা হয়েছিল যামন রচনা নির্বাচনের সময়, তেমনি বইয়ের অঙ্গসজ্জার পর্বে। এই সংকলন তাই শুধু আজকের দিনের ছেলেমেয়েদের জন্য নয়, আগামী যুগের শিশুরাও যাতে বহুকাল ধরে এর কদর করে, সেটাও হল সেরা সন্দেশ-এর একটা প্রধান পরিমল গােস্বামীর প্রবন্ধএ লক্ষ্য।

Title : সেরা সন্দেশ ১৩৬৮-১৩৮৭
Author : সত্যজিৎ রায়
Publisher : আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
ISBN : 9788170668862
Edition : 2019
Number of Pages : 377
Country : India
Language : Bengali

সত্যজিৎ রায় (২ মে ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং লেখক। তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।সত্যজিতের জন্ম কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্প সমাজে খ্যাতনামা রায় পরিবারে। তার পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কিশোরগঞ্জে (বর্তমানে বাংলাদেশ) কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয়: Ladri di biciclette, বাইসাইকেল চোর) দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী এবং তার কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best Human Documentary) পুরস্কার। পথের পাঁচালী, অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯) – এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে বহুল স্বীকৃত। চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্রগ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হল ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এছাড়াও ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১টি গোল্ডেন লায়ন, ২টি রৌপ্য ভল্লুক লাভ করেন।  তিনি বেশ কয়েকটি ছোট গল্প এবং উপন্যাস রচনা করেছেন, প্রাথমিকভাবে শিশু-কিশোরদের পাঠক হিসেবে বিবেচনা করে। কল্পবিজ্ঞানে তার নির্মিত জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র গোয়েন্দা ফেলুদা এবং প্রোফেসর শঙ্কু। সত্যজিৎ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারত রত্ন সম্মাননা প্রদান করে। সত্যজিৎ ভারত রত্ন এবং পদ্মভূষণসহ সকল মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন।  ২০০৪ সালে, বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় সত্যজিৎ ১৩ তম স্থান লাভ করেছিলেন।হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণে ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ মৃত্যুবরণ করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]