৳ ৫৫০ ৳ ৪১৩
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের নৌ-কমান্ডো অভিযান বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত ও ত্বরান্বিত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি নৌ-কমান্ডোরা যে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন তার নাম ‘অপারেশন জ্যাকপট'। এই অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্র ও রসদবাহী উল্লেখযোগ্য কিছু জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অচল হয়ে যায় বন্দর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জলপথে চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই গেরিলা অভিযান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করিয়ে দেয়। পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে এমন দুঃসাহসিকতার নজির বিরল।
ঐতিহাসিক পলাশীর নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান কবির বীরপ্রতীক ছিলেন অপারেশন জ্যাকপটের এক গেরিলা সদস্য। তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও বিস্তৃত গবেষণার সংমিশ্রণে রচিত হয়েছে অপারেশন জ্যাকপট গ্রন্থটি। এই গ্রন্থ একাধারে যেমন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক গৌরবদীপ্ত পর্বে আলোকপাত করেছে, তেমনই তুলে এনেছে স্মৃতিকথার এক অতুলনীয় অধ্যায়।
Title | : | অপারেশন জ্যাকপট |
Author | : | শাহাজাহান কবির বীরপ্রতীক |
Publisher | : | পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড |
ISBN | : | 9789846345599 |
Edition | : | 4th Print, 2023 |
Number of Pages | : | 312 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
শাহজাহান কবির বীরপ্রতীক। জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১, পিতা শহিদ মোঃ ইব্রাহিম বিএবিটি, মাতা মরহুমা আছিয়া বেগম। বাড়ি চাঁদপুর জেলার দাশাদী গ্রামে। তিনি ১৯৬৭ সালে সফরমালী হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৬৯ সালে ঢাকা গভ. কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৭১ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক এবং ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। স্কুলজীবন থেকে শিক্ষা কমিশনসহ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন এবং কলেজজীবনে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তিনি নিজ এলাকার ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহাসিক পলাশীর নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ সেন্টারে কঠোর নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেন। অপারেশন জ্যাকপটের অধীনে অন্যান্য নৌ-কমান্ডের সঙ্গে চাঁদপুর নৌবন্দরে অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং ছয়টি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে চাঁদপুর বন্দরকে অচল করে দেন। পরে অন্যান্য নৌ-কমান্ডোদের সাথে চাঁদপুরের দ্বিতীয় অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। মহান যুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশ সরকার বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করে।
If you found any incorrect information please report us