মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা (হার্ডকভার)
মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা (হার্ডকভার)
৳ ৭০০   ৳ ৫৯৫
১৫% ছাড়
3 টি Stock এ আছে
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

বাংলাদেশের ইতিহাস এক সময় লিখেছেন অমুসলিম ঐতিহাসিকরা, বিশেষ করে এদেশে আগত খ্রিস্টান ইতিহাসবিদ এবং পরবর্তী সময়ে হিন্দু ইতিহাসবিদরাই একইভাবে এদেশের ইতিহাস লিখেছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের ইতিহাসবিদ যারা প্রথম দিকে ইতিহাস লিখেছেন, তাদের মধ্যে গোলাম হোসেন খান (সাইর-ই-মুতাখ্খিরিশ),
গোলাম হোসেন সলিম (রিয়াজ উস সালতীন), সুলিমউল্লাহ (তারিখ-ই-বাঙাল) প্রমুখ
গ্রন্থের লেখকরা। তাঁরা প্রায় সবাই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পরের সময়কার
ঐতিহাসিক। ইংরেজদের খুশি করার জন্য তাঁরা ইতিহাসের পাশাপাশি অনেক
অপইতিহাসও লিখেছেন। যেমন, এঁদের প্রায় সবাই নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে অপশাসক হিসেবে দেখিয়েছেন। পরবর্তীকালে বাংলার সবচেয়ে নামকরা ঐতিহাসিক স্যার যদুনাথ সরকারও নবারের শাসনকে একতরফা সমালোচনা করেছেন। এর সবই হয়েছিল ইংরেজদের খুশি করার জন্য। একবার বাংলার ইতিহাস লেখার মাঠে নামেন
খ্রিস্টীয় লেখকরা। এদের মধ্যে মেজর চার্লস স্টুয়ার্ট অন্যতম। তিনি ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ইবহমধষ লিখে একটি যুগ বিভাগ করলেন, নাম দিলেন বৌদ্ধযুগ, হিন্দুযুগ, মুসলিম যুগ এবং ব্রিটিশ যুগ। সুকৌশলে চার্লস ‘খ্রিস্টানযুগ’ কথাটি এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
আজ পর্যন্ত আমাদের ঐতিহাসিকরা এই স্টুয়ার্টের পদ্ধতিই অনুসরণ করছেন, সে
হিন্দু কী মুসলিম ইতিহাসবিদ হোন না কেন, কোনো পরিবর্তনের মেরুদ- তাদের
ছিল না, এখনো নেই। এসব ইতিহাসের মূল লক্ষ কী ছিল, স্রেফ মুসলিম বিদ্বেষ
তৈরি করা। গোলাম হোসেন সলিম থেকে শুরু করে রমেশ চন্দ্র মজুমদার পর্যন্ত
সকলে এ কাজটিই করে গেছেন।
এরপর এসেছেন বামপন্থী নামক ইতিহাসবিদ-বুদ্ধিজীবীরা। তারাও একই ধারায়
ইতিহাস লিখে চলেছেন। এজন্য দেখি ১৮৫৭ সালে যখন বাংলা-ভারতের সিপাহিরা বিদ্রোহ করেছে, তখন এতে মুসলিম গন্ধ পেয়ে সমকালের কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীরা কেউ এর সমর্থন করেন নি। কিন্তু মহামতি কার্ল মার্কস যখন সিপাহি বিদ্রোহের প্রশংসা করলেন তখন বামপন্থী, উদারপন্থী মুসলিম, অমুসলিম ইতিহাসবিদরা সবাই নড়েচড়ে বসলেন।
আসলে সিপাহিদের বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আলেম সমাজ। এটাই বড় দোষ ছিল। আজ পর্যন্ত কোনো ঐতিহাসিকের লেখায় পাঠক এটা পাবেন না ১৮৫৭ সালের
বিদ্রোহের নেপথ্যে কারা ছিল। সবাই এড়িয়ে গেছেন। সেই সময় কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না, সংগঠন ছিল না, বারাকপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামে একই সময়ে এত বড়
একটা ঘটনা, এমনি হয়ে গেল! কারও মধ্যে প্রশ্ন উঠে নি।
ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আফগানিস্তানের কাবুলে যে প্রবাসী
সরকার গঠিত হয়েছিল তার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ ছিলেন একজন
আলেম। পাঠক এ তথ্য কোনো ঐতিহাসিকের বইয়ে পাবেন না। আসলে তিনি ছিলেন
মাওলানা বরকতউল্লাহ, দেওবন্দের আলেম।
১৭৫৭ সাল থেকে একের পর এক ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, তিতুমীরের লড়াই,
ফরায়েজি আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন প্রথম দিকের আন্দোলন তো সব হয়েছে
আলেমদেরই নেতৃত্বে। ইতিহাসবিদরা কিন্তু এখানেও চুপ মেরে গেছেন। ১৯৪৭
পর্যন্ত এসব নানামুখী আন্দোলনে আলেমরা কীভাবে কাজ করেছেন তার কিছু কিছু
তথ্য পাঠক পাবেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত
আত্মজীবনীতে।
১৯৪৭ উত্তর মুসলিম লীগের পতনের একটি বড় কারণ ছিল যুক্তফ্রন্টে আলেমদের
অংশগ্রহণ। ‘যুক্তফ্রন্ট’ ভারতের দালাল, হিন্দুদের দাস, কমিউনিস্টদের
বানানো ইত্যাদি প্রচারণা একারণে জনগণের কাছে পাত্তা পায় নি। প্রেসিডেন্ট
আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনাও করেছিলেন আলেমরা, যখন আইয়ুব
ইসলামি শরিয়ার ওপর ছুরি চালিয়েছেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানে জামায়েতে ইসলামীর
ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ জনগণের সামনে তুলে ধরেছিলেন আলেমরাই। এই জামায়েতে ইসলামীর কারণে হক-আলেমরাও রেহাই পান নি বামপন্থী লেখক-বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে।
মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের রক্তও মিশে আছে এদেশের চির সবুজ ঘাসের মধ্যে। একজন
হাফেজে কোরআন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী
হন। পাঠক এ প্রসঙ্গে স্মরণ করুন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে কাবুলে প্রবাসী
সরকারের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন একজন আলেম। ড. মোহাম্মদ হাননান, আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম প্রধান লেখক, তিনি কি মুক্তিসংগ্রাম ও
মুক্তিযুদ্ধের নতুন ইতিহাস লিখেছেন ? না ড. হাননান ইতিহাসের এড়িয়ে যাওয়া
অংশগুলো শুধু জোড়া লাগিয়েছেন।

Title : মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা
Author : ড. মোহাম্মদ হাননান
Publisher : অন্যপ্রকাশ
ISBN : 9789845026666
Edition : 2021
Number of Pages : 340
Country : Bangladesh
Language : Bengali

ড. মােহাম্মদ হাননান সহস্রাব্দ ও শতাব্দীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইত্যাদির ওপর যে। সংগ্রহ-সংকলনটি করেছেন তা অনুসন্ধিৎসু যে-কোনাে পাঠকের কাছেই বিশ্বকোষের স্বাদ এনে দেবে। শতাব্দীর বাংলাদেশ, শতাব্দীর বিশ্ব, সহস্রাব্দের বাংলাদেশ, সহস্রাব্দের বিশ— গ্রন্থ চারটিকে নানাভাবেই সাজানাে যায়। এখানে পাঠক বাংলাদেশকে পাবেন দু’ভাবে-শতাব্দী ও সহস্রাব্দের মতাে করে, আবার বিশ্বকেও পাবেন শতাব্দীর পাশাপাশি সহস্রাব্দের পটভূমিতে। শতবছর অথবা হাজার। বছরের পরিক্রমায় বাংলাসমাজ ও বিশ্বসমাজ এভাবেই গ্রন্থ চারটিতে মূল্যায়িত হয়েছে। লেখক-গবেষক হিসেবে ড. মোহাম্মদ হাননান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অগ্রসেনানী। তিনিই প্রথম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখেছিলেন, যা ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই থেকে শুরু, এখন পর্যন্ত তিনি নিরলসভাবে তাঁর অভিযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ওপরও রয়েছে তাঁর অনেক গবেষণা। ২০২০ সালের বইমেলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বৃহৎ গ্রন্থ শতাব্দীর বঙ্গবন্ধু । বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, তত্ত্ব ও বাস্তবে ইতিহাসের একটি পরিপূরক ঘটনা। ড. হাননানের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থগুলো পড়লে এ সত্যতার প্রমাণ মেলে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২১ (২০২১ সাল পর্যন্ত)। পুরস্কার হিসেবে অর্জন করেছেন সিভিল সার্ভিসের রেক্টর মেডেল, সিকান্দার আবু জাফর জন্মশতবর্ষ স্বর্ণপদক (সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ২০১৯) এবং অন্যান্য। জন্ম: ঢাকার বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]