৳ ৮০০ ৳ ৬৪০
|
২০% ছাড়
|
Quantity |
|
তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩ অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩) এখন ৬০% ছাড়ে
বাংলাদেশে বেদে সমাজ নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে, বিদ্বেষও আছে। তারা প্রান্তবাসী, তাদের দশ হাত দূরে রাখতে শুধু ভদ্ৰশ্রেণি নয়, পল্লিসমাজও পছন্দ করে। তাদের পরিযায়ী জীবনযাত্রা সুস্থির, গৃহকেন্দ্রিক জনগােষ্ঠীর নিশ্চয়তা প্রত্যাশার সঙ্গে বিরােধে যায়, সে জন্য তাদের নিয়ে একটা অস্বস্তিও জনমনে আছে। সাপের। খেলা দেখানাে অথবা লােকচিকিৎসা দেয়া এবং এ রকম কিছু গৌণ কাজের মধ্যেই মােটামুটি তাদের কর্মপরিধি সীমাবদ্ধ। অথচ তাদের বসবাস কৌম সমাজে, নারীদের অবস্থান সেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত, তাদের নৈতিক-নান্দনিক বােধ, সৃষ্টিশীলতার চর্চা এবং একটি ভাষা আছে, যা ঠার বা ঠেট বলে পরিচিত। বেদেদের জীবনের ভেতরে খােলামন নিয়ে। উঁকি দিলে একটি ছবি দেখা যাবে। যদিও খুব কম মানুষই সেই চেষ্টা করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই কাজটি দরদ নিয়ে, নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন থেকে এই জনগােষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা মােচন ও তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করে আসছেন। বস্তুগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি হাবিবুর রহমান। বেদেদের ভাষা নিয়ে গবেষণা করে ঠার বেদে জনগােষ্ঠীর ভাষা নামে একটি বই লিখেছেন। ঠার ভাষার সঙ্গে আরাকানি মনতং নৃ-গােষ্ঠীর ভাষার অনেক মিল, তবে মিলটা বাংলা ভাষার, বিশেষ করে এর আদিরূপ প্রাকৃতের সঙ্গে বেশি। হাবিবুর রহমান ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রগুলাে মেনেই লিখেছেন বইটি, যার ফলে তাঁর গবেষণার একটি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও তৈরি হয়েছে। ঠার ভাষার বহুল প্রচার হােক, যাতে বেদেদের সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন আসে। -- সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ)
Title | : | ঠার: বেদে জনগোষ্ঠীর ভাষা |
Author | : | হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম |
Publisher | : | পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড |
ISBN | : | 9789846345070 |
Edition | : | 2nd Print, 2023 |
Number of Pages | : | 352 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
হাবিবুর রহমানের জন্ম ১৯৬৭ সালে গোপালগঞ্জ জেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে। গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া মোল্লাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ১৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। বহুমুখী প্রতিভা ও অসাধারণ মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হাবিবুর রহমান সমাজসেবা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিশেষত বাংলাদেশ পুলিশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমুজ্জ্বলকরণের ক্ষেত্রে এক বিরল নজির স্থাপন করেছেন। চাকরি জীবনে যে কর্মস্থলেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই রেখে এসেছেন তার নতুন চিন্তা-চেতনা আর কর্মস্পৃহার ছাপ। সেই সাথে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে স্থাপন করেছেন মানবসেবা আর সামাজিক উন্নয়নের অনন্য নজির। পেশাগত জীবনে তার অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য যেমন লাভ করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি তেমনি অর্জন করেছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা শুধু বাংলাদেশ পুলিশ নয়, দেশের সীমা ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বে উদ্ভাসিত করার মানসে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
If you found any incorrect information please report us