গারো (হার্ডকভার)
গারো (হার্ডকভার)
৳ ৮০০   ৳ ৬৮০
১৫% ছাড়
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

ভারতবর্ষ প্রাগৈতিহাসিক কালে কখনোই আর্যাবর্ত ছিল না। খ্রিষ্টপূর্ব ও আর্যপূর্বকাল থেকেই ভারতে প্রাচীন মানুষের আগমন ঘটেছে- বিশেষত আদিম অস্ট্রিকভাষাভাষী অস্ট্রেলীয়-এশিয়াটিক মানুষের। তাদের পাত্রবর্ণ কৃষ্ণকায়, চুল কোঁকড়ানো এবং দেহের গড়ন দোহারা। আবার মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানবের গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, মুখমণ্ডল গোলাকার, চোখ পিটপিটে, অনেকাংশে দাড়ি গোঁফহীন। অস্ট্রিক ভাষাভাষীদের প্রথম আগমন ঘটেছিল প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দক্ষিণ ভারতের সমুদ্র উপকূলে। অপরদিকে ভারতবর্ষে মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানব যেমন গারো, খাসী, হাজং, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরা, রাজবংশী, কোচ ইত্যাদি নৃগোষ্ঠীর আগমন ঘটে তিব্বত ও চীনের হোয়াংহো ও ইয়াংসী নদীর অববাহিকা থেকে। তাদের আগে ভারতবর্ষের এই জনপদে মনুষ্য-বসতি ছিল কি-না তা নিয়ে নৃতাত্ত্বিক-গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক-গবেষকদের মাঝে বিতর্কের মীমাংসা আজ অবধি শেষ হয়নি। আর সেই সকল কৃষ্ণকায় ও হরিদ্রাভ মানুষেরা ছিল সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুণ্ডা এবং গারো, খাসিয়া, হাজং, চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, মণিপুরী, বম, রাজবংশী ইত্যাদি নানা রকম ভিন্নভাষাভাষী মানুষের পূর্ব পুরুষরাই। যদিও তাদের মধ্যে ভাষাগত ব্যবধান সত্ত্বেও তাদের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, খাদ্য গ্রহণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, মোটামুটি অমিলের চেয়ে মিলই বেশি।

Title : গারো
Author : মুস্তাফা মজিদ
Publisher : জার্নিম্যান বুকস
ISBN : 9789849765059
Edition : 1st Published, 2024
Number of Pages : 350
Country : Bangladesh
Language : Bengali

কবি ও গবেষক মুস্তাফা মজিদ লেখালেখি করেন কৈশোর থেকে (১৯৭০)। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ এবং মাও সে-তুঙ এর চিন্তাধারায় উজ্জীবিত হয়ে কৈশোরেই তিনি গোপনে পূর্ব পাকিস্তানের এ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-এর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন । গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক করেছেন ঢাকাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন থেকে স্নাতক সিম্মান), স্নাতকোত্তর, এম ফিল ও পিএইচ ডি করেছেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জার্মানীতে।
মূলত তিনি কবি ও গবেষক এবং সম্পাদনায় যুক্ত। তার রচিত ও সম্পাদিত প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৫৬। ১০টি কাব্যগ্রন্থ সহ উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থ: বাংলাদেশের রাখাইন’, ‘The Rakhaines' {পিএইচ ডি গবেষণা], ত্রিপুরা জাতি পরিচয়', 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিচয়, চাকমা জাতিসত্তা', আদিবাসী রাখাইন', 'মারমা জাতিসত্তা', বাংলাদেশে মঙ্গোলীয় আদিবাসী’, ‘গারে জাতিসত্তা', 'হাজং জাতিসত্তা', আদিবাসী সংস্কৃতি [১ম ও ২য় খ-, 'লোক প্রশাসনের তাত্ত্বিক প্রসঙ্গ’, ‘আমলাতন্ত্রের স্বরূপ”, “বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র, রাজনীতিতে সামরিক আমলাতন্ত্র', 'নেতৃত্বের স্বরূপ', বাংলাদেশে বঙ্কিমচন্দ্র', মুক্ত ও মুগ্ধ দৃষ্টির রবীন্দ্র বিতর্ক, শতবর্ষে অক্টোবর বিপ্লব’, ‘অক্টোবর বিপ্লবের তিন কবি' ইত্যাদি। আর ছোটদের জন্য কাব্যগ্রন্থ “স্বাতীর কাছে চিঠি', গল্পগ্রন্থ 'দীপুর স্বপ্নের অরণি ও জীবন থেকে; ‘ছোটদের ৭টি মঞ্চ-নাটক এবং জীবনীগ্রন্থ রূপকথার নায়ক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন' ও বঙ্গবীর ওসমানী।
ড. মুস্তাফা মজিদ ছাত্রাবস্থায় কাজ করেছেন খবরের কাগজে রিপোর্টারের ১৯৭৪-১৯৮৪]। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উপ পরিচালক থেকে মহাব্যবস্থাপক পদে [১৯৮৪-২০১৪] । তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সাহিত্যিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে যুক্ত। যেমন: স্বদেশ চিন্তা সঞ্জ, ছায়ানট জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ লেখক শিবির কচি-কাঁচার মেলা, ঢাকা থিয়েটার, ঢাকা শিশু নাট্যম অন্যতম। বর্তমানে তিনি বিজ্ঞান-সাহিত্য-সংস্কৃতির ত্রৈমাসিক ‘অনীক'-এর সম্পাদক ও সমাজ সন্দর্শন কেন্দ্র'-এর সভাপতি।
এছাড়া তিনি নিজ গ্রাম পটুয়াখালী জেলার সুবিদখালীতে স্ব-উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য পরী পাঠাগার, সংগীত ও বিজ্ঞান বিদ্যাপীঠ' নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন ।
জন্ম ১৪ এপ্রিল ১৯৫৩ । ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেন, জার্মানী, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]