৳ 250
১৪৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়। কুপন: FIRSTORDER
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, এক মায়ের ত্যাগ, একজন মুক্তিযোদ্ধা পিতার বীরত্ব এবং স্বাধীনতার পরবর্তী প্রজন্মের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়েই গল্পটির মূল আবর্তন। গল্পের শুরুতে আমরা পাই এক মায়ের কথা, যিনি সন্তানের জন্য বুক ভরা মমতা ধারণ করেন। তার স্বামী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, রেখে গিয়েছিলেন সন্তান ও স্ত্রী’কে। সেই মা একা হাতে সন্তানকে মানুষ করেন। একদিকে দারিদ্র্য, অন্যদিকে স্বামীর মৃত্যুজনিত কষ্ট সবকিছু অতিক্রম করে তিনি ছেলেকে মানুষ করার প্রতিজ্ঞা নেন। ছেলেটির নাম তারেক। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী এবং স্বপ্নবাজ। মায়ের অনুপ্রেরণায় সে বড় হতে থাকে। একসময় তারেক শিক্ষাজীবন শেষ করে এবং জীবনের সংগ্রাম পেরিয়ে তারেক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সি.আই.ডি সদস্য হিসাবে। মায়ের চোখে তখন আনন্দের ঝিলিক যে সন্তানকে তিনি অসীম কষ্টে বড় করেছেন, সে আজ সম্মানের আসনে। তারেক দেশের জন্য, সমাজের জন্য কাজ করে, বাবার মতো দেশপ্রেম হৃদয়ে ধারণ করে। এই পরিবার যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় যেখানে ত্যাগ, মমতা আর সংগ্রামের জয়গান আছে। কিন্তু একই সময়ে সমাজের আরেক চিত্র ফুটে ওঠে জাকিরের মাধ্যমে। জাকির তারেকের আত্মীয় হলেও জীবনযাপন একেবারেই ভিন্ন। মায়ের স্নেহ, বাবার আদর্শ থেকে বঞ্চিত হয়ে জাকির বেড়ে ওঠে দিশাহীন ভাবে। তার জীবনে শৃঙ্খলা বা শিক্ষার আলো প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে তার স্বভাব হয়ে ওঠে উচ্ছৃঙ্খল। দিন কাটাতে থাকে অসৎ পথে, অবহেলায়। একসময় জাকিরের জীবনে আসে রুবিনা। রুবিনা ছিল ভদ্র ঘরের মেয়ে, তবে জাকিরের সাথে পরিচয়ের পর সে ভিন্ন পথে চলে যায়। জাকির তাকে মোহিত করে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের সম্পর্ক সমাজে কলঙ্কের দাগ হয়ে ওঠে। এদিকে তারেক যেখানে প্রতিষ্ঠা, মর্যাদা ও সমাজসেবার আলো ছড়ায়, সেখানে জাকির ও রুবিনা হয়ে ওঠে অনৈতিকতার প্রতিচ্ছবি। এই দ্বৈত জীবনচিত্রের মধ্য দিয়ে লেখক তুলে ধরেছেন সমাজের বাস্তবতা। একদিকে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ত্যাগ, স্বপ্ন ও সাফল্য। অন্যদিকে পথভ্রষ্ট প্রজন্মের পতন। গল্পে মায়ের প্রতীকী উপস্থিতি বোঝায় মমতা, ত্যাগ আর সংগ্রামের শক্তিকে। অন্যদিকে জাকির-রুবিনার কাহিনি সতর্কবার্তা দেয় অবহেলা, সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব এবং নৈতিক মূল্যবোধের সংকটে মানুষ কিভাবে বিপথে যায়। তারেক ও জাকির দু-জনই সমসাময়িক তরুণ, কিন্তু পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিক মূল্যবোধ ও আদর্শের কারণে তাদের পথ আলাদা হয়ে যায়। তারেক বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আলোকিত পথে হাঁটে, আর জাকির চলে অন্ধকার গহ্বরে। এই বৈপরীত্যই গল্পটির মূল শক্তি। লেখার আরেকটি দিক হলো মুক্তিযুদ্ধের ছায়া। যিনি মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিলেন, তার উত্তরসূরি প্রমাণ করলেন যে ত্যাগ বৃথা যায়নি। আরেকদিকে, যারা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হলো, তাদের পতন সমাজের জন্য এক বড় ক্ষতি। গল্প শেষে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগবে- আমরা কোন পথে হাঁটব? তারেকের মতো সংগ্রামী ও দেশপ্রেমিক জীবনের পথে, নাকি জাকিরের মতো অবক্ষয়ের পথে? এই প্রশ্নই গল্পটির নৈতিক বার্তা। গল্পটি শুধু একটি পরিবারের ইতিহাস নয়, বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সমাজ-বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এতে আছে মায়ের মমতা, মুক্তিযোদ্ধার বীরত্ব, তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন, আবার আছে নৈতিক অবক্ষয় ও ভ্রান্তপথে হাঁটার করুণ পরিণতি।
Title | : | শেষ সময়ে এসে (হার্ডকভার) |
Publisher | : | ইচ্ছাশক্তি প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789842909405 |
Edition | : | 1st Published, 2025 |
Number of Pages | : | 64 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
Reviews and Ratings
How to write a good review
৳ 0